হাটহাজারীতে মসজিদ ও মাদ্রাসা পরিচালনার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধের জেরে কুয়েতপ্রবাসী দুই ভাইয়ের ওপর প্রতিপক্ষ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে এক ভাই নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কালা বাদশাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম হোসাইন এলাহী (৪০)। তিনি কালা বাদশাপাড়া এলাকার লতু মিয়ার ছেলে। ওই হামলায় আহত হোসাইনের ছোট ভাই মোমেন শাহ (৩৫) গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও জনপ্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কালা বাদশাপাড়া জামে মসজিদ ও তালিমুল কোরআন নুরানী মাদ্রাসা পরিচালনা ও সংস্কারকাজের জন্য আয়–ব্যয়ের হিসাব নিয়ে মসজিদ পরিচালনা কমিটির দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর মধ্যে গতকাল এশার নামাজের আগে ওই এলাকায় কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। এরপর ১০–১৫ জন দুর্বৃত্ত অস্ত্র, লাঠি, রামদা নিয়ে কুয়েতপ্রবাসী দুই ভাইকে এলোপাতারি কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
এরপর স্থানীয় লোকজন আহত দুই ভাইকে উদ্ধার করে প্রথমে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাত নয়টার দিকে তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথেই হোসাইন এলাহীর মৃত্যু হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হোসাইন এলাহী ও মোমেন শাহ দুজনেই দীর্ঘদিন কুয়েতে ছিলেন। তবে করোনা পরিস্থিতিতে তাঁরা দেশে আসার পর আটকা পড়েন। শিগগিরই দুজনেই আবার কুয়েতে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তাঁদের আরেক ভাই মুহাম্মদ মহসিন সৌদি আরবপ্রবাসী। তিনিও ছুটিতে দেশে এসেছেন। তিনি বলেন, মসজিদ ও মাদ্রাসার যাবতীয় খরচে তাঁদের পরিবার সহায়তা করে থাকে। আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়ায় প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁর দুই ভাইকে কুপিয়েছে। এ ঘটনায় তিনি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আকতার হোসেন বলেন, মসজিদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রবাসী দুই ভাইয়ের সঙ্গে প্রতিপক্ষের বিরোধ চলে আসছিল। মসজিদের নিয়ন্ত্রণের জেরেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।
জানতে চাইলে হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম শনিবার সকালে বলেন, নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে পুলিশ হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। প্রথম আলো
ওয়েবসাইট নকশা প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট