ঢাকা অফিসঃ
ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের বৃহত্তর ময়মনসিংহে একমাত্র তীর্থকেন্দ্র শেরপুরের নালিতাবাড়ী বারমারী খ্রিষ্টান ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী ফাতেমা রাণীর তীর্থ উৎসব মূল প্রার্থনার (খ্রিষ্টযাগ) মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে মহা খ্রিস্টযাগের প্রার্থনার মাধ্যমে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে ওই তীর্থোৎসব সমাপ্তি ঘোষণা করেন ময়মনসিংহ খ্রিস্ট ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল বিশপ পনেন পৌল কুবি সিএসসি। উৎসবের এবারের মূল সুর ছিল ‘ভ্রাতৃত্ব ও মিলন সমাজ গঠনে ফাতেমা রাণী মা মারিয়া’।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে পূনর্মিলন, পাপ স্বীকার এবং বিকেলে পবিত্র খ্রিষ্টযাগের মধ্য দিয়ে তীর্থ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরে রাতে আলোক শোভাযাত্রা, আরাধ্য সাক্রান্তের আরাধনা, নিরাময় অনুষ্ঠান ও নিশি জাগরণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রথম দিনের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে দেশ ও বিদেশ থেকে আসা প্রায় ৪০ হাজার রোমান ক্যাথলিক খ্রিষ্টভক্ত যোগ দেন।
এ বিষয়ে তীর্থ উৎসবের সমন্বয়কারী রেভারেন্ড ফাদার তরুণ বানোয়ারী বলেন, “দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা খ্রিষ্টভক্তরা নিজেদের পাপমোচনে মোমবাতি জ্বালিয়ে আলোর মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় প্রায় দুই কিলোমিটার পাহাড়ি ক্রুশের পথ অতিক্রম শেষে মা-মারিয়ার প্রতিকৃতির সামনে সমবেত হয়ে ভক্তি ও শ্রদ্ধা জানিয়ে অকৃপণ সাহায্য প্রার্থনা করেন ক্যাথলিক ভক্তরা।”
রাজশাহী ক্যাথলিক খ্রিষ্ট ধর্মপ্রদেশ বিশপ জের্ভাস রোজারিও বলেন, “এবারের তীর্থযাত্রায় বিশ্বমানবতার কল্যাণে বিশেষ করে বাংলাদেশের সকল সমস্যার সমাধানের জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে।”
পাশাপাশি সকল ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণ দিন দিন তীর্থ উৎসবটি এখন সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
জের্ভাস রোজারিও আরো বলেন, “শেরপুরের বারমারী সাধু লিওর খ্রিষ্টান ধর্মপল্লীতে ফাতেমা রাণীর তীর্থস্থানটি পর্তুগালের ফাতেমা নগরের আদলে ও অনুকরণে ১৯৯৮ সালে স্থাপিত হয়। সেই থেকেই ফাতেমা রাণীর করুণা ও দয়া লাভের আশায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তীর্থযাত্রীরা এখানে সমবেত হয় নিজেদের পাপ মোচনের জন্য।
অন্যদিকে তীর্থ উৎসবে আগতদের নিরাপত্তা দিতে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত ছিল বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোমিনুর রশীদ এবং পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরী।
ওয়েবসাইট নকশা প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট