আজগর আলী খান
রাজস্থলী, রাঙামাটি,।
রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলাধীন ৩নং বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অর্থের বিনিময়ে ভোটের ফলাফল কারচুপি করে নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীকে জিতিয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন মোঃ মোতালেব হোসেন নামের এক প্রার্থী। মোরগ প্রতিকে নির্বাচন করা মোতালেব নিজেকে ক্ষমতাসীন দলের একজন সক্রিয় সদস্য বলেও দাবি করেছেন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন বলে প্রতিবেদককে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে একটি অভিযোগ পেয়েছেন এবং সেটি সংশ্লিষ্ট উদ্বর্তন কতৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে এবং পরবর্তীতে প্রাপ্ত নির্দেশনার আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার উৎপল বড়য়া।
অভিযোগে মোতালেব উল্লেখ করেন, ২৮শে নভেম্বর/২১ অনুষ্ঠিত ৩য় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাঙ্গালহালিয়া ইউপি’র ১নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী হই এবং ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পরিকল্পিতভাবে মোরগ প্রতিকের এজেন্ট প্রার্থী মোতালেবের মেয়ে মরিয়ম আক্তার ময়নাকে মহিলা বুথ থেকে ডেকে নিয়ে আনুমানিক ১০/১৫ মিনিট পর্যন্ত পার্শ্বোক্ত পুরুষ বুথে নিয়ে বসিয়ে রাখা হয়। এছাড়াও নির্বাচন শেষ হওয়ার অনেকক্ষণ পূর্বেই বেলা ১২ টার সময়ই প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক রেজাল্টশীটে সকল প্রার্থীর এজেন্টদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে নেওয়া হয়। যাহা সম্পূর্ন বিধি বর্হিভূত কাজ। বেলা সাড়ে তিনটার সময় ব্যালট বই এবং ব্যালট বক্স নিয়ে প্রিজাইডিং অফিসার একাই অন্য আরেকটি রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দীর্ঘক্ষণ সেখানে অবস্থান করেছিলেন। সেখানে অন্য কেহ ছিলোনা। টিউবওয়েল প্রার্থীর নিকট থেকে আনুমানিক তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার সময় নির্বাচনে কর্তব্যরত লোকেরা একটি টাকার বান্ডিল গ্রহণ করেন। এসবের প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছে বলেও দাবি করেছেন মোতালেব হোসেন। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ভোট গণনাকালীন সময়ে ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার আল মামুন নিজেই বুথের মধ্যে অবস্থান করছিলো এটার কতটুকু বৈধতা রয়েছে? ভোট গণনা শেষ করে একটি রেজাল্টশীট সংশ্লিষ্ট্য প্রার্থীদের এজেন্টদের দেওয়ার নিয়ম থাকলেও সেটি না করে কোনো রকম স্বাক্ষর নানিয়ে অবৈধ পন্থায় একটি রেজাল্টশীট বিদ্যালয়ের বারান্দায় টাঙিয়ে উক্ত স্থান ত্যাগ করেন সংশ্লিষ্ট্য কর্মকর্তা। বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন মোঃ মোতালেব হোসেন।

ভয়েস সিটিজি’র প্রতিবেদকের মুঠোফোনে মোতালেব জানান, তারদলের একজন নেতার প্রত্যক্ষ ইন্ধনে বিএনপি সমর্থক প্রার্থীকে টাকার বিনিময়ে জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুরো এলাকার আপামর মানুষের ভালোবাসা তার পক্ষে থাকলেও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মাত্র তিন ভোটের ব্যবধানে তাকে পরিকল্পিতভাবে হারানো হয়েছে।
