★ মুক্তিযুদ্ব-(৬)
আমার নিঃশ্বাসের নাম স্বাধীনতা-
পিতার অবাধ্য হয়ে যুদ্বে গিয়েছিলাম-
জননীর নিষেধ মানিনি-
আমার রাইফেল থেকে বেরিয়ে আসা গোলাপ তুমি-
বেঈমানের চাঁন তারার পতাকায় আগুন দিয়ে-
বাঙালী জাতির পুনঃজন্ম হলো।
তোমার জন্যেই হিরোশিমার কুমারীরা আব্রু দিলো-
নাগাসাকিতে অমর শ্লোগান উঠলো” জয় বাংলা”-
আমার মেশিনগানের ম্যাগজিনে ছিলো-
পয়তাল্লিশটি গোলাপের কুঁড়ি-
তাইতো স্বাধীনতা এতো সুভাসিত।
স্বাধীনতা নেবে কেউ?
এ দেশ স্বাধীন করেছি আমার দূ’ হাতে-
তোমার দূহাতে তুলে দিচ্ছি-৫৪ হাজার বর্গমাইল-
এটা আমার অহংকার-লাল সবুজের পতাকা-
এটা আমার প্রজন্মকে তুলে দিতে চাই?
হে স্বাধীনতা-!
তোমার জন্যে লক্ষ তরুন রক্তের বীজ বুনে গেছে-
বুকের পাজঁরের স্বপ্নের মতো-
সম্মিলিত মুক্তিযোদ্বা জনতা-
বায়ান্নের ২১ – ৭ই মার্চ- ২৯ শে মার্চ- ১৬ই ডিশেম্বর-
আমি গিয়েছিলাম আমার অস্হিত্বের জতুগৃহে-
আমার রক্তক্ষরনের অঙ্গীকারে।
কবিরা লিখেছেন অমর কাব্য-
শিল্পীরাএকেঁছেন-
পাকিস্হানী সৈন্যের নৃশংসতা, বর্বরতা,
শিশুর মগজ- যুবকের মগজের গুঁড়ো-
নিয়াজীর রক্তের নেশা-
অবনত হলো- অপরাজিত ৭ই মার্চের ভাষনের কাছে।
যদি কোনদিন- আবার আসে দূর্দিন-
আবার তুলে নেবো আমার জমা দেওয়া অস্ত্র-
কারণ- রাইফেলের নলের মধ্যেই লুকিয়েছিল-
আমার স্বাধীনতা-
তোমাকে পেতে দেশ ভেসেছিল- রক্তগঙ্গায়।
ডা কাজল কান্তি দাশ।
বীর মুক্তিযোদ্বা ও কলামিস্ট-
(একাওর রনাঙ্গনের এপিট ওপিঠ)
ওয়েবসাইট নকশা প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট