বান্দরবানের রেয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নে সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই পক্ষের গোলাগুলিতে ৪ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (৫ মার্চ) রাত আনুমানিক ১০টার দিকে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে।নিহতের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার জেরিন আখতার।
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্র্ড এর পালিক্ষ্যং ঝিড়ির সাংগু নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
৬ মার্চ (রবিবার) বিকেলে পুলিশ মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে, এসময় একজনের মৃতদেহ মাটির নিচ থেকে ও অপর ৩জনের দেহ সাংগু নদীর পাড় থেকে উদ্ধার করা হয়। এসময় জলপাই রংয়ের সামরিক পোশাক পরিহিত নিহত সন্ত্রাসীদের লাশ নদীর চরের বাদাম ক্ষেতে উপুড় হয়ে পড়ে ছিলো দেখতে পেয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ৫ মার্চ (শনিবার) বিকেল থেকে পালিক্ষ্যং ঝিড়ি এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শুনতে পায় পাড়াবাসী। এসময় অনেকে ভয়ে পালিয়ে পাহাড়ের উপরে ওঠে যায় আর অনেকে পালিয়ে নিরুদেশ হয়ে যায়।
এদিকে সারারাত আতংক শেষে ৬ মার্চ (রবিবার) সকালে সুর্য ওঠার পর পাড়াবাসী তাদের অনেকের ঘরের মহিলাদের নিখোঁজ থাকায় তাদের খুঁজতে বের হলে নদীর পাড়ে ৪টি মৃতদেহ পায়।
পরে এলাকাবাসী বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ গুলো উদ্ধার করে।
মৃতদেহগুলো কাদের তারা কোন গ্রুপের সদস্য বা তাদের নাম ও পরিচয় কি এই বিষয়ে কোন তথ্য জানাতে পারেনি পুলিশ, বর্তমানে এই ঘটনায় ওই এলাকায় চরম আতংক বিরাজ করছে।
এদিকে বান্দরবানের পুলিশ সুপার জেরিন আখতার জানান, ৪জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে আসছে পুলিশ, তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে।
উল্লেখ্য, গত ২ ফেব্রুয়ারি বান্দরবানের রুমা উপজেলার বথিপাড়ায় সেনাবাহিনীর সাথে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে সেনা সদস্য মো. হাবিবুর রহমান ও তিন জেএসএস সন্ত্রাসীসহ মোট ৪ জন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয় এক সেনা সদস্য। এসময় অভিযানে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ১টি এসএমজি, ২৪৯ রাউন্ড গুলি, ৩টি এম্যোনিশন ম্যাগাজিনসহ বিভিন্ন সরাঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় বান্দরবানসহ সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়।
ওয়েবসাইট নকশা প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট