ফেনীর ট্রাংক রোডে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে হামলা ও তাদের ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠান লুটপাট করার সময় সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে আহত কাউসার নামক স্হানীয় এক শিবির কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
ফেনী শহরের ট্রাংক রোডে গত ১৫ অক্টোবর সংঘর্ষের সময় গুরুতর আহত এনামুল হক কাউছার। শুক্রবার রাতে রাজধানীর কাকরাইল ইসলামিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ১৯ বছর বয়সের এ যুবক। তার গ্রামের বাড়ি সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ভোয়াগ গ্রামে। স্হানীয় বাসিন্দা ও নিহত কাউসারের প্রতিবেশীরা জানান সে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবিরের রাজনীতিতে সরাসরি জড়িত ছিলো।
নিহতের চাচা আতাউল ইসলাম দাবি করেন, ঘটনার দিন দোকানের মালামাল কিনতে কাউছার ফেনী এসেছিল। এরপর বড় মসজিদের সামনে সংঘর্ষের সময় মাথা ও মুখে গুলিবিদ্ধ হয় কাউছার।
গুপনে ফেনী শহরের বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ছিল। বৃহস্পতিবার রাত থেকে অবস্থার অবনতি হতে থাকলে শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে ঢাকায় নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত কাউছার ওই এলাকার ব্যবসায়ী একরামুল হক সবুজের বড় ছেলে। এদিকে শুক্রবার রাতে তার লাশ সোনাগাজী পৌর শহরের কাশ্মির বাজার সড়কের ভাই ভাই মঞ্জিলের বাসায় আনা হয়।শনিবার সকাল ৯টায় পৌর শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। ১০টায় ভোয়াগ গ্রামে দ্বিতীয় জানাযা শেষে আবদুর রাজ্জাক মাষ্টার বাড়ীর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। ৩ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে কাউছার ছিল সবার বড়।
ওয়েবসাইট নকশা প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট