পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে বিদায় নিয়েছে ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সড়ানোর পর পাকিস্তানের ক্ষমতায় বসেন শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন নতুন সরকার। ইমরান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য একত্রিত এখন তাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে মতভেদ ও অন্তঃকোন্দল। এ প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনএই।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) আইন-ই-সদরে আয়োজিত ওই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সিনেটের চেয়ারম্যান সাদিক সানজারানি। কারণ পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি নতুন মন্ত্রীদের শপথ পাঠ করাতে অপারগতা জানিয়েছিলেন। প্রথম ধাপে ২৬ জন ফেডারেল মন্ত্রী, তিনজন রাজ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর তিনজন উপদেষ্টার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) একটি সূত্র জানায় যে, মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) থেকে আসা মন্ত্রিসভার পাঁচ সদস্যের দায়িত্ব বন্টনের বিষয়টি এখনো বিবেচনাধীন আছে। তারা হলেন, খুররাম দস্তগির খান, আব্দুল রহমান কাঞ্জু, রিয়াজ পীরজাদা, সরদার আয়াজ সাদিক এবং মুর্তজা জাভেদ আব্বাসী।
আরও জানা গেছে, পিএমএল-এন প্রধান নওয়াজ শরিফ এবং অন্য শরিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেই মন্ত্রিসভা গঠন ও মন্ত্রীদের নাম চূড়ান্ত করেছেন শেহবাজ শরীফ। এক টুইটে তিনি বলেছেন, আশা করেন, মন্ত্রী ও পরামর্শদাতারা সমস্যা দূর করতে পারবেন। আর তাদের লক্ষ্য হলো শুধু কাজ করে যাওয়া।তবে পিএমএল-এন-এর একটি সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রিসভার সদস্য নির্বাচন এবং দায়িত্ব বণ্টন নিয়ে দলের মধ্যে বিভক্তি রয়েছে। আরও জানা গেছে, পিএমএল-এনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মরিয়ম নওয়াজও ‘অসন্তুষ্ট’।
নওয়াজ শিবিরের মাত্র একজন সদস্যকে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ নতুন মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তিনি হলেন জাভেদ লতিফ, যিনি মঙ্গলবার শপথগ্রহণ করেননি। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজের কথা ছিল যে, যেখানে যে মানানসই তাকে সেখানে দেওয়া হবে। কিন্তু সেটি দেখা যাচ্ছে না, কারণ নওয়াজের ঘনিষ্ঠরা যেমন ইরফান সিদ্দিকি, পারভেজ রশিদ, মুহাম্মদ জুবায়ের, দানিয়াল আজিজ, মুসাদ্দিকও মন্ত্রীদের তালিকায় নেই।
ওয়েবসাইট নকশা প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট