পার্বত্য পর্যটন রাণী রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলায় মাত্র একটি সেতুর অভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন নানিয়ারচরের শংখোলা গ্রামের শতাধিক পরিবার। কোনো মতে একটি ভাঙ্গা নৌকা ও কলা গাছের ভেলা দিয়েই নিত্যদিন ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হচ্ছেন তারা। দীর্ঘদিন ধরে একটি ব্রিজের দাবি জানিয়ে জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্না দিয়েও এখনো পর্যন্ত কোনো সুফল পাননি ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগী স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সাবেক্ষং ইউনিয়নের শংখোলা গ্রামের মাঝখানে প্রায় তিন শ’ মিটার দুরত্বের এই নিচুস্থানটি কাপ্তাই হ্রদের শাখা চেঙ্গী নদীর পানিতে সারা বছর ডুবে থাকে। এই এলাকায় শতাধিক পরিবারে প্রায় ৫০০ এর উপরে লোকের বসবাস, তারা নিত্যদিন কৃষিপণ্য বিপণন, চিকিৎসা ও ছেলেমেয়ে শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যাওয়ার সময় সারাবছর জুড়ে করুন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই ছোট একটি সেতুর অভাবে তাদের জীবন-মান উন্নয়নের অগ্রযাত্রা থমকে আছে বহুকালব্যাপী। রাষ্ট্র ও স্হানীয় সামাজিক সব সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত চির অবহেলিত এই এলাকার জনগোষ্ঠী।
আমাদের পারাপারের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা একটি ভাঙা নৌকা ও নিজের হাতে তৈরী কলা গাছের ভেলা। গ্রামের মানুষের অসচ্ছলতার ফলে ভালো একটি নৌকাও বানাতে পারেনি। ফলে গ্রামের দুই শতাধিক পরিবারের নানা বয়সী মানুষের একটি ভাঙ্গা নৌকা দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হচ্ছে। ঘটছে দূর্ঘটনাও। গ্রামবাসীরা এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানান।
এ বিষয়ে নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা জানায়, এখানে একটি সেতু নির্মান ব্যয়বহুল হওয়ায় উপজেলা পরিষদের পক্ষে সেতুটি করা সম্ভব হচ্ছেনা। গ্রামের মানুষের দূর্ভোগ লাগবে একটি সেতু নির্মাণের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করবেন বলে জানান তিনি।
ওয়েবসাইট নকশা প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট