বানিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের চাক্তাই খাতুনগঞ্জসহ নগরীর পাইকারি মার্কেট গুলো ভরে গেছে দেশি-বিদেশি পেঁয়াজে, তুলনামূলক কমেছে দাম, ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৪ থেকে ২৭ টাকায়, আর মিয়ানমারের পেঁয়াজ কেজি প্রতি তিন টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২২ টাকা করে। রমজানকে সামনে রেখে অনান্য বছরের তুলনায় পেঁয়াজের বাজারে ক্রেতা কম বলছেন ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সকালে পেঁয়াজের পাইকারি আড়ত চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায় অনেকটা কমে আসছে পেঁয়াজের দাম। মিয়ানমারের পেঁয়াজ গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা কমেছে। এখন বিক্রি হচ্ছে ২২ টাকা করে। ভারতের পেঁয়াজ মানভেদে ২৪ থেকে ২৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারতের নাসিক পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৭ টাকায়। আর বেলডাঙ্গা, কানপুর ও খাসখালির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৪ থেকে ২৫ টাকায়। বেলডাঙ্গা ও কানপুরি পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ থেকে ২ টাকা কমেছে। নাসিক পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল আছে।
ব্যাবসায়ীরা জানান বাজারে বিক্রি মোটামুটি। তেমন তোড়জোড় নেই। রমজানকে সামনে রেখে অনান্য বছর যেমন বেচাকেনা হতো এবছর তেমন নেই। ব্যবসায়ীরা লস দিয়ে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন বলে দাবি করেন।তারা বলেন বাজারে প্রচুর পেঁয়াজ আছে। ভারতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ২৬ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম একসপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল আছে। তবে মিয়ানমারের পেঁয়াজের দাম কমেছে। আদা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজিতে। চীন থেকে আসা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।
ব্যাবসায়ীদের দাবি অনান্য বছর রমজান সমানে রেখে এ সময়ে যে পরিমাণ বেচাবিক্রি হতো এবছর তেমন নেই। রমজানকে সামনে রেখে পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম বাড়ার সম্ভাবনা তেমন নেই। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি ঠিক থাকলে পেঁয়াজের দাম আরও কমবে।
তারা আরও বলেন, আজকে আদা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, আর চীনা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজিতে। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা।
এদিকে ২নং গেইট, কাজির দেউরি, বহদ্দারহাট ও চকবাজার, শুলকবহরের আশপাশেরসহ বিভিন্ন দোখানে খুচরায় পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি, রসুন ১১০ টাকা ও আদা ৭৫ টাকা কেজিতে।
বিভিন্ন খুচরা ক্রেতারা বলেন, খাতুনগঞ্জ বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি। অথচ ৩ মিনিটের দূরত্বে ভ্যানে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি। পাড়া-মহল্লার বাজারে তো দাম আরও বেশি।
ওয়েবসাইট নকশা প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট