স্বর্গবেশ্যা উর্বশী কারো ও বিরহে –
চোখের জল ফেলেনা-
মোমের আলোয় পড়েনা-
কাশী রাম দাশের মহাভারত——
যুগে যুগে মানুষ নস্টকে ঘৃনা করে-
প্রেম দেয় ভগবানে –
আমি তো স্বর্গের তিলোওমা,
রম্ভাকে প্রত্যাশা করিনি?
ওরা তো মোমের আলোয়–
কালিদাশের রামায়ন পড়ে না
ক্ষমাহীন বিরহে ফেলে না চোখের জল।
আমি চেয়েছিলাম –
অলকা প্রিয়ায় চির বসন্তের মতো –
মেঘদূতের পএালাপ-
শরতের বিরহী প্রতীক্ষা কবিতার মতো-
সেই কাজল রেখাকে-খুঁজে বেড়াই?
কবিতার মতোই দেখতে চেয়েছিলাম তোমায়
শরৎ চন্দ্রের বিরহী কবিতার গন্ধে-বিরহানলে-
সিন্ধূ সভ্যতার কাল থেকে- অনুভব করেছি।
আগুন কি একা একা নিজে নিভে?
হৃদয় পুড়ে ছাই করে কাব্যময় প্রেমের স্বাদ আস্বাদন-
নবজাতকের মাতার মতো-
সব লজ্জা জড় করে –
প্রাচীরের ইটের গাথুনির মতো এক এক করে সাজিয়েছি-
সাজিয়েছি অনুভুতি গুলো বিক্ষুব্ধ ভয়াল তৃষ্ণায়।
মিশর,রোমিয়,ব্যবিলনের বিষ্ময়ের কত সভ্যতা-
ঝরে যায়-তবুও বারে বারে ফিরে আসে।
“”প্রেম নিয়ে নারী “”
নতুন বীজের জন্ম দেয় কঠিন বৃক্ষ-
হাজার বছর ধরে শিকড়ের স্বাদ খুঁজে বেড়ায়।
বর্ষা শীত বসন্তে ডাহুক ডেকে যায়-
রাতভর ক্লান্তিহীন-
প্রান্তরের নির্জনতা আর বিষাদ ভরা রাত্রির মাঝেও ডাকছেই-
যে ডাক আমায় ছুয়ে যায়-
দুচোখে নতুন স্বপ্ন এসে ভীড় করে।
কফির সাথে চিনির আত্নীয়তা না হলে-
কফি কি তার স্বাদ জানতে পারতো?
সহস্র বছর ধরে রেখো-
আমার দু’ চোখের আলো-
আমি তোমায় দেখবো-
সহস্র বছরের অন্ধকারে ও।
ওয়েবসাইট নকশা প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট