টেকনাফ প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যংএর লম্বাবিল উত্তর হ্নালীর ৩ নং ওয়ার্ডে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় দুজন গুরুতর আহত হয়েছে।শুক্রবার ১৯ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে প্রতিপক্ষ আব্দুস সালামের নেতৃত্বে তার ছেলে-মেয়ে ও রোহিঙ্গা আল-ইয়াকিন সদস্যদের নিয়ে ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়ে দুজনকে গুরুতর আহত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আহতরা হলেন, হোয়াইক্যং লম্বাবিল ৩ নং ওয়ার্ডের আব্দুল জব্বার এর দুই ছেলে মোক্তার হোসেন (৪০)ও আলী আহমদ (২৬)।
হামলাকারীরা হলেন,হোয়াইক্যং লম্বাবিল ৩ নং ওয়ার্ডের মৃত কালা মিয়ার ছেলে আব্দুস সালাম(৬০)তার তিন ছেলে মোঃ সোলতান আহমদ,ছৈয়দ মিয়া ও মোঃ আব্দু শুক্কুর,তার দুই মেয়ে উম্মে সালমা ও মোসাঃ সমজিদা,এবং একই এলাকার খুইল্যা মিয়ার ছেলে মোঃ হারুন ও নুর আহমদ এর ছেলে মোঃ শাহজাহান সহ অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জন।
এ বিষয়ে আহতদের পিতা আব্দুল জব্বার বলেন,প্রতিবেশী আব্দুস সালাম দীর্ঘদিন ধরে আমার বাপদাদা ও পূর্বপুরুষের বসত ভিটা দখলে নিতে নানা ষড়যন্ত্র ও বিরোধ করে আসছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় শালিসী বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংসা করা হলেও আব্দুস সালাম ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে শালিস না মেনে জোর করে জমি দখলে নিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল।এই জমির জেরে দীর্ঘদিন তাদের উপর নানাভাবে অত্যাচার চালিয়ে আসছে প্রভাবশালী আব্দুস সালাম ও তার ছেলে-মেয়েরা।
তিনি আরও বলেন,এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ নভেম্বর (শুক্রবার)বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে আমার দুই ছেলে মোক্তার হোসেন ও আলী আহমদকে বাড়িতে একা পেয়ে আব্দুস সালাম ও তার ছেলে-মেয়ে সহ রোহিঙ্গা আল-ইয়াকিন গ্রুপের সদস্য ভাড়া করে এনে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে রাখে।এবং বাড়ী ঘর ভাঙ্গচুর সহ ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাট করে।
পরে আহতদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।পরে ঘটনাস্থলে উপস্হিত লোকজনের সহযোগীতায় আমার দুই ছেলেকে প্রথমে হ্নালী মৌলভীবাজার সূর্য হাসি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার্ড করে।কক্সবাজার সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার দুই ছেলের শারীরিক অবস্হার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।বর্তমানে তারা দুজন সেখানে চিকিৎসাধীন আছে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার জেলা পুলিশ সুপার,টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’র হস্তক্ষেপ কামনা করে হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
হোয়াইক্যং ফাঁড়ির (আইসি)মাহমুদুল হাসান বলেন,আমার কাছে এখনো কোন অভিযোগ আসেনি,যদি অভিযোগ আসে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ওয়েবসাইট নকশা প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট