চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজারে আল হেরা আবাসিক হোটেল দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা নারী ব্যাবসা, নগরীর শিক্ষা ও স্বাস্থ্য অঞ্চল নামে পরিচিত চকবাজার, শিক্ষা ও চিকিৎসার জন্য দুরদুরান্ত থেকে প্রতিদিন হাজারো মানুষ এসে রাত্রিযাপন করে চকবাজারের আবাসিক হোটেল গুলোতে, এখানে আসে হাজারও ছাত্র-ছা্ত্রীদের অভিভবক, আসে চমেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা, চকবাজারের এই আবাসিক হোটেল গুলোকে ঘিরে গড়ে উঠেছে একাধিক নারী ও মাদক ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেট।
চকবাজার থানা লাগোয়া হোটেল আল হেরা আবাসিক, বাহির থেকে দেখে বুঝার উপায় নেই ভেতরে এই হোটেলে কি হয় বা কারা থাকে, বাহির থেকে দেখে পরিপাটি মনে হলেও ভেতরে নেই বিন্দুমাত্র থাকার পরিবেশ। এখানে সাধারণ কোন বোর্ডার মোটেও নিরাপদ নয়, এখানে ভুলে যারা একবার রাত্রিযাপন করেছেন তারা অনুভব করতে পেরেছেন কি ভয়ংকর বিশ্রী পরিবেশ, চট্টগ্রাম মেডিক্যালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর আত্মীয় স্বজন ও ভুক্তভোগী সাধারণ রাত্রিযাপন কারীদের কাছে এক আতংকের নাম চকবাজার হোটেল আল হেরা।
এখানে ঘন্টায় চুক্তিতে ভাড়া দেওয়া হয় রুম, স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী হলে কোন ধরনের রেজিষ্ট্রেশন ছাড়া ১ হাজার টাকার বিনিময়ে ১ ঘন্টার নেটিশে রুমের বুকিং হয়, কোন কাপল রিসিপশনে পা দেওয়া মাত্র পরিচয় না জেনে, তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয় আপনারা কতক্ষণ থাকবেন। সাধারণ কোন মানুষ তাদের পরিবার নিয়ে সারাদিন বা একের অধিক দিন থাকতে চাইলে এখানে তাদের রুম বুকিং দেওয়া হয়না। ঘন্টা হিসেবে মাদকসেবিদের জন্যও বুকিং হয় বিশেষ রুম, লাগেনা কোন প্রকারের রেজিষ্ট্রেশন।
আশপাশের এলাকার ব্যাবসায়ীরা জানান, এদের কারনে চকবাজারের পরিবেশ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্হ হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে অতিদ্রুত এই অবৈধ ব্যাবসা বন্ধের দাবি তাদের, হোটেলের পাশের এক দোকানি বলেন দু-একদিন পর পরই পুলিশ এসে অনেককে ধরে নিয়ে যেতে দেখি, কিন্তু পরক্ষনেই আবার সেই আগের মতো শুরু হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমি চকবাজারে দীর্ঘদিন, এই হোটেলের অনেক ঘটনা দেখেছি, সবচেয়ে কঠিন বিষয়টি হচ্ছে গ্রেফতার হওয়াদের মধ্যে পেশাদার ছাড়া অধিকাংশই যখন কারও না কারও ঘরের বৌ বা ছেলে-মেয়ে, এমন পরিস্থিতি যখন হয়, যখন কোন অভিভবক শুনে তার ছেলে-মেয়ে বা স্ত্রী, কলেজে গিয়ে হোটেলে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে তখন পরিবেশটা খুবই মর্মান্তিক হয়, যার ফলে ভাঙ্গছে শতশত নারীর সংসার, বন্ধ হয়েছে হাজারও ছাত্র-ছাত্রীর পড়ালেখা, অনেককে আত্মহত্যা করতেও শুনেছি।
এবিষয়ে প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় হোটেল আল হেরায় কর্মরত কয়েকজনের সাথে, আলাপকালে তারা বলেন, তাদের ভাষায় (ওয়ান টাইম ফ্যামেলী) না দিলে আমরা খাবো কি। থানা প্রশাসন জানেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, রাতে যারা থাকে তাদের বিষয়ে থানায় রিপোর্ট পাটাই, দিনের গুলো লাগেনা বলে দাবি করেন এই কর্মচারী। ইতিমধ্যেই অনেক বার গ্রেফতার হন এই হোটেলের প্রায় কর্মচারী, কিন্তু অদৃশ্য কারনে থানা থেকে ছাড়া পেয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে তারা।
ওয়েবসাইট নকশা প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট