প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক নিয়ে সরাসরি কন্টেইনার জাহাজ যাচ্ছে ইউরোপে৷ এর ফলে কমবে পরিবহণ খরচ, সাশ্রয় হবে সময়৷
আগে ইউরোপে বাংলাদেশের পন্য পৌঁছাতে সময় লাগতো কমপক্ষে ৪০ দিন। এখন লাগবে মাত্র ১৬ দিন।
আগামি ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে এই পরিবহন যাত্রা শুরু হবে।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের সবচেয়ে বড় বাজার ইউরোপ৷ মোট রপ্তানির ৬০ শতাংশই যায় সেখানকার দেশগুলো৷ এতদিন চট্টগ্রাম থেকে জাহাজে এসব দেশে সরাসরি পণ্য পাঠানোর সুযোগ ছিল না৷ এবারই প্রথমবারের মতো সেই দুয়ার খুলেছে৷
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ইউরোপের উদ্দেশে প্রথম সরাসরি জাহাজটি যাবে ইটালির রাভেনা বন্দরে৷ সেখান থেকে ইউরোপের অন্যান্য দেশের ক্রেতারা যার যার দেশে পণ্য নিয়ে যাবেন৷
ইটালিয়ান শিপিং কোম্পানি ‘কালিপসো কোম্পানিয়া দে নাভিগাৎসিওনে এসপিএ’-এর দুইটি কন্টেইনার জাহাজ, সোঙ্গা চিতা ও কেপ ফ্লোরেস বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক পরিবহণ করবে৷
বাংলাদেশ থেকে ট্রান্সশিপমেনেন্টের মাধ্যমে ইউরোপে পণ্য যায়৷ প্রথমে ফিডার জাহাজে করে শ্রীলঙ্কার কলম্বো, মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং বা সিংগাপুরে যায়৷ সেখান থেকে মূল জাহাজে করে পণ্য পাঠানো হয় ইউরোপে৷ তার বদলে এখন চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রপ্তানি পণ্যবাহী জাহাজ সরাসরি ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা করবে৷ খালি কন্টেইনার নিয়ে জাহাজও আসবে চট্টগ্রামে৷ ফলে আগের তুলনায় তিন ভাগের এক ভাগ সময় লাগবে৷ খরচও অনেক কমে যাবে।
গত ২৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরে কেপ ফ্লোরেস জাহাজটি এক হাজার ৫০টি খালি কন্টেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে৷ কন্টেইনারগুলো রেখে জাহাজটি চলে যায়৷ কন্টেইনারগুলো এরইমধ্যে তৈরি পোশাক বোঝাই করা হয়েছে৷ এই কন্টেইনার নিতে সোঙ্গা চিতা জাহাজ চট্টগ্রামের পথে রয়েছে৷ জাহাজটি ৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে এক হাজার খালি কন্টেইনার নিয়ে চট্টগ্রামে পৌঁছার কথা আছে৷ খালি কন্টেইনারগুলো রেখে গার্মেন্টস পণ্য বোঝাই কন্টেইনারগুলো নিয়ে ৬ ফেব্রুয়ারি ইটালির উদ্দেশে যাত্রা করার কথা রয়েছে সোঙ্গা চিতার৷ এরপর আবার আসবে কেপ ফ্লোরেস৷ এভাবেই মাসে দুইবার চট্টগ্রাম থেকে পণ্য যাবে ইউরোপে৷
ক্রমাগত ভাবে আগামিতে জাহাজের সংখ্যা বাড়বে।
এর ফলে আগে যেখানে ইউরোপে পণ্য পাঠাতে কমপক্ষে ৪০ দিন লাগত তা কমে ১৬ দিনে নেমে আসবে৷ আর খরচ কমবে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ৷ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ মনে করেন, প্রকৃত খরচ আসলে এর চেয়েও কমে হবে।
ওয়েবসাইট নকশা প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট