বিশ্বের দীর্ঘতমও সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের গর্ব পর্যটন নগরী কক্সবাজার, দেশ তথা বিদেশিদের কাছেও এখন ভ্রমণের লোভনীয় নাম। বর্তমান সরকার কক্সবাজারকে ঘিরে হাতে নিয়েছে মহাপরিকল্পনা, চলছে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ, দিনদিন রঙ বদলাচ্ছে কক্সবাজার, বাড়ছে পর্যটকের সংখ্যা। ১৬ ডিসেম্বর লাল সবুজের ৫০ বিজয় দিবসে কক্সবাজারে ৪ লাখেরও অধিক পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। রাষ্ট্রের এত আয়োজন জনগনের আকাঙ্ক্ষা একটি বিশ্বমানের পর্যটনকেন্দ্রের স্বীকৃতি।, এতে মুখ্য আইনশৃঙ্খলা ও স্হানীয় পরিবেশ।
এদিকে কিছু কিছু অসাদু পুলিশ কর্মকর্তা ও স্হানীয় মাদক ব্যাবসায়ী রাজনৈতিক কর্মির সহায়তায়, নারী ও মাদককারবারিরা কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল জোনের পরিবেশকে নোংরা করে তুলার মহোৎসবে মেতেছে। সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পাশের কটেজগুলোতে দিনদুপুরে বসে পতিতার হাট।দলে দলে স্হানীয়রা সহ পর্যটকরা আসে এই পতিতার হাটবাজারে।আর এসব কটেজগুলো পরিচালনা করে মোটা জাহেদ, আব্বাস, পান শাহিন,সিরাজ,রহিম,আব্দুল মান্নান, মাজেদ, জসিম ও রাশেদ।
এরা সবাই কক্সবাজার লাইট হাউজস্থ কটেজ জোনের চিহ্নিত পতিতা ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে কটেজে পতিতা মজুদ রেখে দেহ ব্যবসা চালিয়ে গেলেও আইনের আওতায় আসেনি একবারও। কটেজ জোনে প্রায় পুলিশের অভিযানে মামলা থেকে কৌশলে বাদ পড়ে যায় তারা।এসব কটেজ থেকে বহুবার পতিতা ও খদ্দর আটক হলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকেন দালালরা।
কক্সবাজার শহরের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বিপরীত পাশে কটেজ জোন। এই জোনে প্রায় প্রতিটি কটেজে নিয়মিত মজুদ রাখা হয় পতিতা। যার মধ্যে অন্যতম মোটা জাহেদ ও আব্বাসের ভাড়া নেওয়া কটেজ ‘ঢাকার বাড়ি। যে কটেজ থেকে বহুবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে পতিতা ও খদ্দর আটক করেছিল। মামলা হয়েছিল অনেক কটেজ ভাড়াটিয়া ও মালিকের বিরুদ্ধে। কিন্তু প্রতিবারেই কৌশলে বাদ পড়েন মোটা জাহেদ ও আব্বাস। বর্তমানে তার কটেজে জমজমাটভাবে চলছে পতিতা নিয়ে দেহ ব্যবসা। বলতে গেলে এক প্রকার প্রকাশ্যে চলছে এই অবৈধ কর্মকান্ড। এমনকি পতিতা নিয়ে এই অবৈধ ব্যবসা চালাতে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কটেজ ভাড়া নেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, কটেজ জোনের সর্বাধিক আলোচিত হলো ঢাকার বাড়ি। যে কটেজ পতিতার হাট হিসেবে প্রসিদ্ধ। ওই কটেজে সদর থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ বহুবার অভিযান চালিয়ে পতিতা আটক করেছিল। সীলগালাও করা হয়েছিল। কিন্তু থেমে থাকেনি ওই কটেজের অপরাধ। পুরো কটেজটি নিয়ন্ত্রণ করেন মোটা জাহেদ ও আব্বাস। ঢাকার বাড়ি কটেজের প্রতিটি রুমে ৮ থেকে ১০ পতিতা থাকে।
স্হানীয়রা বলেন-ঢাকার বাড়ি কটেজেটি পতিতা মজুদের কটেজ হিসেবে পরিচিত। প্রতিটি রুমে পতিতাদের অবস্থান। সব সময় ৩০ জনের অধিক পতিতা অবস্থান করে মোটা জাহেদ ও আব্বাসের কটেজে। খদ্দররা নিয়মিত ভীড় জমান ওখানে। এখনো ঢাকার বাড়ি কটেজে জমজমাট চলছে পতিতার ব্যবসা। মূলত পতিতা ও খদ্দরের জন্য কটেজটি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। এছাড়া সেখানে চলে মাদক সেবনও।
এছাড়া সবুজ কটেজ,আমের ড্রীম,এম আলী গেস্ট হাউজ সহ আরও অনেক কটেজেও চলে পতিতাবৃত্তি। পুরো কটেজ জোনে তারা পতিতা ব্যবসায়ী হিসেবে বেশ পরিচিত।
ওয়েবসাইট নকশা প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট