রাঙামাটি পার্বত্য জেলার রাজস্থলী উপজেলার একমাত্র রাজস্থলী সদর হাসপাতাল। দীর্ঘ ১৫/২০ বছর পর সরকারি সম্পদ উদ্ধারের ব্যবস্থা হাতে নিয়েছেন হাসপাতাল কতৃপক্ষ। হাসপাতাল কতৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, পূরাণ হাসপাতালের নামে প্রায় এক একর ৯৫ শতাংশ জায়গা হাসপাতালের নামে বন্দোবস্তী আছে। উক্ত জায়গাই কিছু অসাধু ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবৎ বেদখল করে আসছে। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করার পর হাসপাতাল কতৃপক্ষের টনক নড়ে। গত ৭ নভেম্বর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিক্লপনা কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত নোটিশ দখলকারীদের নিকট প্রেরণ করেন। যাহা অাগামী ১৫/২/২২ তারিখে র মধ্যে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
নোটিশের মাধ্যমে জানাযায় অবৈধ দখলকারীরা হলেন, সাবেক গাইন্দ্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোলায়মান, ব্যবসায়ী অাবদুল মান্নান, পাথরবন পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহানাজ বেগম, উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগের নৈশ প্রহরী আলী আকবর মিলন। অনুলিপি ও সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের লক্ষে, জেলা প্রশাসক রাঙামাটি, সিভিল সার্জেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান রাজস্থলী, নির্বাহী অফিসার ,ক্যাম্প কমান্ডার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকৌশলী, চেয়ারম্যান গাইন্দ্যা ইউনিয়ন পরিষদ,হেডম্যান ৩২৮ নং পৌয়তু মৌজা বরাবরে অনুলিপি প্রেরন করা হয়। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রুইহলাঅং মারমা বলেন, প্রায় ১৫/২০ বছর ধরে হাসপাতালের জায়গা টি অবৈধ দখল কারীরা বেদখল করে অাসছে। তাদের কে বার বার তাগিদ দেওয়ার পরও কোন কর্ণপাত করেনি। ফলে প্রশাসনিক ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নোটিশ ইস্যু করি। যদি আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারীর ২০২২ মধ্যে জায়গা খালী না করে তাহলে দখলকারীদের বিরুদ্ধে অাইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে বাধ্য হব। উল্লেখ্য যে সদর হাসপাতালের সম্পদ লুন্ঠন কারীরা ক্ষমতার দাপটে দীর্ঘদিন ধরে সেমি পাকা ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। দখল কারীদের বিষয়ে উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় কয়েকবার উপস্থাপন এবং জেলা প্রশাসক রাঙামাটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্যবিভাগ কে অনুরোধ করেন। সে প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হাসপাতাল কতৃপক্ষ এ নোটিশ ইস্যু করেন।
